হামলায় আহত ১৩ শিক্ষার্থীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছি, হামলায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিকালে রুপাতলী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। পরে বিআরটিসির কাউন্টার কর্মী রফিককে পুলিশ আটক করলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয় বলে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মো. আসাদুজ্জামান জানান।
এরপর রাত ২টার দিকে রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটে বলে আহতদের ভাষ্য।
তাদের অভিযোগ, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে একদল পরিবহন শ্রমিক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই হামলা চালায়।
পরে আহতদের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জানান বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একজন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা কাউসার বলেন, “আমি ঘটনা জানিও না। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আরিফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ বেলা ১১টায় উপাচার্য, বাস-মালিক সমিতি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক হবে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।”