রোববার বিকালে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, মো. ইলিয়াছুর রহমান, লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক আলী নাঈম খান জিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সাহা বাপীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
পাঠ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ৩০০ বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেন। লাইব্রেরি চত্ত্বরে পাঠের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় টেবিল, চেয়ার ও ছাতা রাখা হয়েছে। সেখানে বসে পাঠক বই পড়ছে। প্রতিদিনই পাঠ উৎসবে পাঠকের সমাগম বাড়ছে।
ফলে এ লাইব্রেরি সব ধরনের পাঠকের বইয়ের চাহিদা মেটাতে সক্ষম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পাঠ উৎসবের আয়োজন কেন জানতে চাইলে আলী নাঈম বলেন, “যান্ত্রিক এ যুগে এসে মানুষ পাঠ বিমুখ হয়ে পড়েছে। তাই পাঠ অভ্যাস গড়ে তুলতে আমরা এ আয়োজন করেছি। প্রথম দিনে তিনশ মানুষ এ পাঠ উৎসবে অংশ নিয়েছে। পাঠ উৎসবে ভাল সাড়া পড়েছে। প্রতিদিনই পাঠক বাড়ছে।”
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি ইলিয়াসুর রহমান বলেন, “প্রতি বছর ভাষার মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পক্ষকালব্যাপী পাঠ উৎসবের আয়োজন করা হবে। এই লাইব্রেরি থেকে পাঠক বই নিয়ে পড়তে পারবেন। এছাড়া পাঠ অভ্যাস গড়ে তুলতে আমরা শহরের পাড়া-মহল্লায় লাইব্রেরি গড়ে তুলব।
“এখানে বই থাকবে সেখান থেকেও মানুষ বই পাঠের সুযোগ পাবেন। পাঠ অভ্যাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
পাঠ উৎসব একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলে মনে করেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলাম সৈকত।
তিনি বলেন, “পাঠ অভ্যাসের মধ্য দিয়ে আলোকিত মানুষ হতে পারব এবং মানুষ, সমাজ ও দেশকে আলোকিত করতে পারব।”