গোপালগঞ্জে মৎস্য চাষিকে ভুয়া পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, পরে মুক্তি

গোপালগঞ্জের এক ক্ষুদ্র মৎস্য চাষিকে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়নায় একদিন আটক রাখার পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2021, 07:37 PM
Updated : 15 Feb 2021, 07:37 PM

শনিবার গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বোরহান উদ্দিন শেখকে (৪৫) ছেড়ে দেয় বলে ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান।

বোরহান উদ্দিন শেখ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল বশার শেখের ছেলে।

ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বোরহান উদ্দিন শেখকে নামে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের একটি ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গোপালগঞ্জ পাঠানো হয়। ওই কাগজপত্রে সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের ‘সিল’ ও ‘স্বাক্ষর’ ছিল। ওই ‘পরোয়ানায়’ শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বোরহানকে গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াপাড়ার বাসা থেকে আটক করা হয়।

“ওয়ারেন্টে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার পরামর্শে আমরা ওয়ারেন্টের সত্যতা যাচাই করতে সাতক্ষীরা আদালতে শনিবার একটি চিঠি পাঠাই।”

ওসি বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় চিঠির উত্তরে জানানো হয় সাতক্ষীরা আদালত থেকে এই ধরনের কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়নি।  কথিত পরোয়ানায় আদালতের যে সিল ও স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। কোর্ট রেজিস্টার পর্যালোচনা করেও কথিত এই পরোয়ানার হদিস মেলেনি বলে জানানো হয়।

“তাই এটি ভুয়া পরোয়ানা বলে সাতক্ষীরা আদালতের সদর কোর্টের জিআরও এএসআই মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে আমাকে জানিয়েছেন। এ চিঠি পেয়ে বোরহান উদ্দিন শেখকে শনিবার রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।”

বোরহান উদ্দিন শেখ বলেন, “আমি কোনো দিন সাতক্ষীরা যাইনি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আমি ছোট পরিসরে মাছ করে জীবিকা নির্বাহ করি। জমিজমা নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।”

এই বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ একটি জালিয়াত চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভূয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার করিয়েছে বলে তার ধারণা।