সোমবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা কেডিএ’র সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন কমিটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে কেডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে।
এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, রূপসা বাইপাস শিপিইয়ার্ড রোড, নিরালা রোড, গল্লামারী থেকে রায়েরমহল ও আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে এবং বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল মকিম সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্ত করার দাবি জানান তারা।
তাদের মতে, কেডিএ’র তৈরি আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোও নির্মাণ করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। সোনাডাঙ্গা ও নিরালা আবাসিক এলাকার গৃহস্থালী বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
কেডিএ অ্যাভিনিউ, এমএ বারী সড়ক, মুজগুন্নী মহাসড়কের দুইপাশে বাণিজ্যিক প্লট তৈরি করলেও এর পেছনের বিশাল এলাকার মানুষের মূল সড়কে আসার জন্য কোনো সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। দৌলতপুর কেডিএ‘র কল্পতরু মার্কেট দীর্ঘ বছরেও চালু করা যায়নি। এখন সেখানে গরু চরে, রূপসা কেডিএ মার্কেটের অবস্থা জরাজীর্ণ এবং নিউ মার্কেটের পিছনের সড়কটি ভাঙাচোরা।
২০০০ সালের পরে কেডিএ যে সংযোগ সড়কগুলো করেছে তা এখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, “খুলনার উন্নয়নে কেডিএ খুলনার আরেকটি সেবামূলক জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সঙ্গে কাজের সমন্বয় করে না। এই সমন্বয়হীনতা খুলনার উন্নয়নের একটি অন্তরায়।
“খুলনায় অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে। পরিকল্পিত রাস্তা-নালা ছাড়াই যেখানে-সেখানে ভবন উঠছে। খুলনায় এ মুহূর্তে আগামী ৫০ বছরের বিশদ এলাকা পরিকল্পনাসহ একটি মাস্টার প্লান করে জনসম্মুখে প্রকাশ করা দরকার। তা না হলে অচিরেই খুলনা নগর একটি বস্তিতে পরিণত হবে।”
তিনি বলেন, আধুনিক ও পরিকল্পিত নগর নির্মাণে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠার পর খুলনার উন্নয়নে কেডিএ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু গত দুই দশকে উন্নয়ন কাজ মুখ-ত্থুবড়ে পড়েছে। দৃশ্যমান বড় কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি তারা। এ ছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, দীর্ঘসূত্রিতা ও নানা অনিয়ম।
এর ফলে খুলনাবাসী প্রত্যাশা অনুয়ায়ী কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং অন্য শহর থেকে খুলনা পিছিয়ে পড়ছে বলে ও উল্লেখ করেন আশরাফ।
এ সময় খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, অধ্যাপক মো. আবুল বাসার ও কোষাধ্যক্ষ মিনা আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।