শনিবার রাতে ধুনট থানায় এই দুটি মামলা দায়ের করা হয় বলে ধুনট থানার ওসি কৃপাসিন্ধু বালা জানান।
এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের করা মামলায় আসামি হলেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরপক্ষে উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হারুন বাবুর করা মামলায় ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ্সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয় বলে ওসি জানান।
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান এবং অন্যপক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিক এবং উপজেলা চেয়াম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন।
গত ৩০ জানুয়ারি ধুনট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী টি আই এম নুরুন্নবী তারিক পরাজিত হলে এই দুইপক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে।
ওসি কৃপাসিন্ধু জানান, এই দুই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের ইকবাল হোসেন রিপন (৩০) ও অফিসারপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদত হোসেন (৪৫)।
রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এই দুই মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে।