রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা চলবে।
চতুর্থ ধাপে দেশে রোববার ৫৫টি পৌরসভায় ভোট হচ্ছে।
গোপালপুরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং কালিহাতীতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট চলছে।
গোপালপুরের নন্দনপুর রাধারানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে ভোট দিতে আসেন সোলইমান বাবু।
লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবেশ শান্ত আছে। এভাবে ভোট গ্রহণ চললে ভোটাররা আসবে এবং শান্তিতে ভোট দিতে পারবে।
একই পৌরসভার ৫৪ নম্বর নন্দনপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে শিমু আক্তার বলেন, “সকালে এসে লইনে দাঁড়াইছি। এমন থাকলে ভোট দিতে পারব।”
ভোট দিয়ে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এভাবে ভোট চললে যেকোনো ফলাফল মেনে নেবেন।
টাঙ্গাইল জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা এ. এইচ. এম. কামরুল হাসান জানান, গোপালপুর পৌরসভায় একজন বিচারিক হাকিম, ৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি কেন্দ্রে নয় জন নির্বাহী হাকিম, বিজিবির তিনটি টহল দল, র্যাবের তিনটি স্ট্রাইকিং পার্টি, ৩৬৩ জন পোশাকধারী পুলিশ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কালিহাতী থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, কালিহাতী পৌরসভায় একজন বিচারিক হাকিম, ৯টি ওয়ার্ডে ১২ কেন্দ্র নয় জন নির্বাহী হাকিম, বিজিবির দুইটি টহল দল, র্যাবের দুইটি স্ট্রাইকিং পার্টি, ২৭৩ জন পোশাকধারী পুলিশ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য মাঠে কাজ করছেন।
গোপালপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভার ১৮ ভোট কেন্দ্রের ১০৮টি বুথে মোট ৪০ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ১০২ জন ও নারী ভোটার ২০ হাজার ৬৩৩ জন।
গোপালপুরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রকিবুল হক ছানা (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কেএম গিয়াস উদ্দিন (নারকেল গাছ), বিএনপি প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল (ধানের শীষ) ও বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মো. শাহজাহান ভিপি (জগ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কালিহাতী পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১০জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার, বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলী আকবর জব্বার, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (বহিষ্কৃত) স্বতন্ত্র প্রার্থী নারকেল গাছ প্রতীকের মো. হুমায়ুন খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের জামিল আল মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের মো. হাসান হাসনাত মিশু।
এই পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রের ৭৪টি বুথে মোট ২৮ হাজার ৬৫৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৬৩৯ জন এবং পুরুষ ১৪ হাজার ১৬ জন।