বৃহস্পতিবার নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক আসামির অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষনা করেন।
এছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়, যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
সাজাপ্রাপ্ত ওয়াজেদ আলী টুকু সৈয়দপুর উপজেলার পূর্ব বেলপুকুর দেড়ানী গ্রামের প্রয়াত খাতির আলীর ছেলে। মামলা দায়েরর পর থেকেই ওয়াজেদ আলী টুকু পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে ওই আদালতের বিশেষ পিপি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২০০৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক ওয়াজেদ আলী টুকু। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান ওয়াজেদ।
পিপি রমেন্দ্র বলেন, এই ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ২৪ জুন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ টুকুকে প্রধান করে তিন জনের নামের একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে সৈয়দপুর থানার এসআই আজগর আলী ২০০৪ সালের ১৫ অগাস্ট ওয়াজেদ আলী টুকুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।