বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ীতে আয়োজন করা হয় এই মেলা। আগে মেলাটি হত ওই ইউনিয়নের পোড়াদহ এলাকায়। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার মেলাটি বসে।
রানীরপাড়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মো. দৌলতুজ্জান মানিক নামে এক ব্যক্তি বলেন, “দাদার কাছ থেকে শুনেছি, প্রায় ৪০০ বছর আগে এক সন্ন্যাসীর আগমন ঘটে গোলাবাড়ীর ইছামতী নদীর তীরে পাইকোড় গাছের নিচে। তাকে ঘিরে মেলা শুরু হয়। সেই থেকে এখনও চলছে প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার।”
মানিক বলেন, মেলায় প্রচুর বড় মাছ ওঠে বলে মাছের মেলাও বলে অনেকে।
সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে মেলায়। বসেছে সারি সারি বড় ধরনের বিভিন্ন আকৃতির মিষ্টির দোকান।
বালিয়াদিঘি ইউনিয়নের মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের জাকির প্রামানিক বলেন, “মেলা উপলক্ষে বোন, বোনজামাইদের দাওয়াত করেছি। তারা সবাই এসেছে। ঈদ উপলক্ষে এই এলাকার মানুষ এক জায়গায় না হলেও মেলা উপলক্ষে একসঙ্গে আনন্দ করে। ঈদে দেশের বাইরে থেকে কেউ না আসলেও মেলা উপলক্ষে চলে আসে। এ সময় সবার সঙ্গে দেখা হয়। মেলায় কেনাকাটার জন্য অনেকে সারা বছর টাকা সঞ্চয় করে।”
মোস্তাফিজার রহমান নামে একজন মাছ বিক্রেতা বলেন, “মেলায় এবার সবচেয়ে বড় বাঘাইড় মাছটি আমি এনেছি। ৬০ কেজি ওজন। ৯০ হাজার টাকা দাম চেয়েছি। ৮০ হাজার টাকা বলেছে। আরও কিছু বেশি হলে বিক্রি করব।”
সাহেব আলী নামে একজন মিষ্টির দোকানি বলেন, “এবার আধা কেজি, এক কেজি ওজনের মাছ আকৃতির মিষ্টি বিক্রি করছি। এক কেজি ওজনের ভাল মিষ্টি ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি।”