হাজীগঞ্জ থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ফাহাদ বিন এহসান তারেক (২৫) নামে এই তরুণকে আটকের পর মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফাহাদ জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার আবু তাহেরের ছেলে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ মোশারফ বলেন, ছোট ভাইকে অপহরণের সময় ফাহাদ বাড়িতে একটি চিঠি লিখে যান। চিঠির সূত্র ধরে তার বাবা হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ফাহাদকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে সোমবার হাজীগঞ্জে এনে আটক করা হয়। অপহৃত ছোট ভাইকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে এ ঘটনায় মামলা হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা মোশারফ।
আটক ফাহাদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ব্যবসা করার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে কিডনি ব্যবসা শুরু করি। আমার নিজের কিডনিও বিক্রি করে দিয়েছি। তবু আমার পরিবার আমাকে ব্যবসার জন্য টাকা দেয়নি। অথচ আমার সামনে অন্য একজনকে ২০ লাখ টাকা ধার দিয়েছে ব্যবসা করার জন্য।
“এ জন্য আমি আমার ছোট ভাইকে নিয়ে যাই তাদের ভয় দেখাতে, যাতে তারা আমাকে টাকা দেয়। কিডনি বিক্রির কথা চিঠিতে লিখে মা-বাবাকে ভয় দেখিয়েছিলাম।”
তার মা ফরিদা সুলতানা শিখা জানিয়েছেন এ ঘটনায় তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, “আমার বড় ছেলে এমন ঘটনা ঘটাবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।”