সংঘর্ষের সময় হত্যা ও ভাংচুরের ঘটনায় আলাদা আলাদা দুইটি মামলা হয়েছে জানিয়ে গোপালপুর থানার ওসি মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, রাতভর অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুরর ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৩টায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম হীরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
তার আগে রাত দেড়টায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মো. খলিলের (৩৫) বাবা উপজেলার ডুবাইল আটাপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহতের বাবা নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, তার নিহত ছেলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক। ঘটনার পর এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশও এ কথা বলেছিল।
গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু জানান, হত্যাকাণ্ড ও ভাংচুরের ঘটনায় আলাদা আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত আট জনকে আটক করা হয়েছে।
“হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নাই।”
দু’টি মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
গত সোমবার সন্ধ্যায় গোপালপুরের থানা মোড়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং ‘বিদ্রোহী’ গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে উপজেলার ডুবাইল এলাকায় দুইপক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় মো. খলিল মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর খলিল মারা যান।
এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।