মঙ্গলবার নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর কথা রয়েছে বলে তাড়াইল থানার ওসি জানিয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাড়াইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের রাহেলা গ্রামে নিহতদের বাড়ির দরজা ভেঙে লাশ দুইটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের পারভেজ আহমেদ ওরফে উমায়ের স্ত্রী শাহনাজ (২৮) এবং তার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে প্রিয়তি (১২)।
তাড়াইল থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের সময় শাহনাজের স্বামী উমায়েরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ওমায়ের ও শাহনাজ এক সময় ওমানে শ্রমিকের কাজ করতেন।
দাম্পত্য কলহের জেরে গৃহবধূ শাহনাজ এবং তার মেয়ে প্রিয়তি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে উমায়ের সাথে যশোর জেলার শাহনাজের বিয়ে হয়।
সম্প্রতি উমায়ের নরসিংদীতে আরেকটি বিয়ে করেছেন সন্দেহে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
সোমবার রাতে নিহতদের বসতঘরে এক দড়িতে মা-মেয়েকে ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।