রোববার রাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম হানিফের ভাতিজা আয়নাল সরদার বাদী হয়ে কালকিনি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এতে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুই মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকরা এই সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
গত শনিবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ কালকিনি থানার ওসির গাড়িতে ওঠার পর নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন ভোরে তিনি ফিরে আসেন।
এদিকে, তার নিখোঁজের সংবাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে কালকিনি থানা ঘেরাও করেন, টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন এবং কালকিনি-ভুরঘাটা-মাদারীপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মশিউর রহমান সবুজের সমর্থকদের বিক্ষোভ চলাকালে একদল লোকজ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান জানান, কালকিনিতে দুই ‘মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের’ মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে আয়নাল সরদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আসামি ধরার ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এই ব্যাপারে মশিউর রহমান সবুজ বলেন, “আমার সমথর্কদের নামে মামলা দিয়েছে। এদের অনেকেই এলাকায় নেই, তারাও আসামি। আমিও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, মশিউর রহমান সবুজ নিজে থেকে ঢাকা এসে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। ওবায়দুল কাদের তাকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বললে তিনি সরে দাঁড়ান।
পুলিশ বলেছে, তারা মশিউর রহমানকে ঢাকা যেতে ‘সহযোগিতা’ করেছে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে এসএম হানিফ, বিএনপি থেকে ধানের শীষে মো. কামাল হোসেন, ইসামলী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে হাতপাখা প্রতীকে লুৎফর রহমান এবং স্বতন্ত্র নারিকেল গাছ প্রতীকে মশিউর রহমান সবুজ ও চামচ প্রতীকে সোহেল রানা মিঠু নির্বাচন করছেন।