শঙ্কা ছাড়াই দেশব্যাপী গণটিকার প্রথম বেলা

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে নানামুখী গুজব ও শঙ্কাকে পেছনে ফেলে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2021, 07:23 AM
Updated : 7 Feb 2021, 08:13 AM

মহামারী রোধে রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এ টিকাদার শুরু হয়েছে।

তবে দুপুর পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের কারো কোনো অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি। টিকা নেওয়ার পর অনেকে সাংবাদিকদের কাছে তাদের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার কথাও জানিয়েছেন।

আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

নওগাঁ

রোববার সকাল ১০টায় নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে জেলার ডিসি হারুন অর রশিদকে টিকা দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জেলার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে টিকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে ডিসি হারুন বলেন, “ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। অনেকেই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছেন। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে—এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে একটি ভালো উদ্দেশ্যেই।

“পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে যদি কেউ ভ্যাকসিন না নেয়, তবে সেটা ভুল হবে। অনেক ওষুধেও কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আবার অনেকের শরীরে অনেক ধরণের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

“যদি আমার শরীরে অন্যান্য রোগ বেশি মাত্রায় না থাকে, তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যা নেই।”

নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের পরিচালক সিভিল সার্জন এবিএম হানিফ বলেন, জেলায় রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬ হাজার মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনজের-ই মোর্শেদ জানান, জেলায় ৮৪ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। এই টিকা ৪২ হাজার মানুষকে ২ ডোজ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকা দেওয়ার কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ

রোববার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলামের শরীরে প্রথম টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত মিয়া বলেন, “আজ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ১৫০ জন, পুলিশ হাসপাতালে ৪০ জন, টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে ৩০ জন, কাশিয়ানী হাসপাতালে ১ শ’ জন, মুকসুদপুর হাসপাতালে ১২৭ জন এবং কোটালীপাড়া হাসপাতালে ৩০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।”

গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা প্রথম টিকা নিয়েছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন।

রোববার গোপালগঞ্জ পুলিশ হাসপাতাল, টুঙ্গিপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী  ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ ৬টি টিকাকেন্দ্র থেকে সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী , পুলিশ ও  প্রশাসনের কর্মীদের ৪৮০টি টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার সাকিবুর রহমান জানান, জেলায় টিকা গ্রহণে আগ্রহী আড়াই হাজার ব্যক্তি অন লাইনে আবেদন করেছেন।

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকাটি নিলেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।

রোববার সকাল ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আয়োজিত টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে টিকা নেন তিনি।

গুজব প্রসঙ্গে রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, গুজবে কেউ কান দেবেন না। আমি নিজেই করোনার টিকা নিলাম, বুঝতেই পারলাম না। টিকা নেওয়ার পর আমি সুস্থ আছি।

সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এ জেলার ৩ হাজার ২০৫ জন করেছেন।

এরমধ্যে সদরে ১ হাজার ৫৬৩ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ৭১০ জন, রাণীশংকৈলে ৩২৬ জন, পীরগঞ্জে ৩৮৫ জন এবং হরিপুরে ২২১ জন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “এসএমএসের মাধ্যমে ৫৪৮ জনকে টিকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরমধ্যে সদরে ১৫০ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ৭০ জন, রাণীশংকৈলে ১৯০ জন, পীরগঞ্জে ৮২ জন, হরিপুরে ৫৫ জন।

“টেলিফোনের মাধ্যমে আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি, আজ এদের সবাইকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।”

ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪৮ হাজার করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে। জেলার সদর ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কেন্দ্র ও বুথ স্থাপন করা হয়েছে। টিকা প্রদানের জন্য সদর হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ে ৭৭টি টিম গঠন করা হয়েছে।

বাগেরহাট

বাগেরহাটে প্রথম ধাপের করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায়  বাগেরহাট সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক ফয়জুল হক ফিতা কেটে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

পরে জেলা প্রশাসক নির্ধারিত বুথে গিয়ে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন।

এরপর বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবিরসহ স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা টিকা নেন।

টিকা গ্রহণের পর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ফয়জুল হক জানান, সারা দেশের একযোগে গণ টিকা প্রদানে বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চদশ দেশ।

“টিকা গ্রহণের পর আমার অন্য রকম মনে হচ্ছে না। আমি স্বাভাবিক আছি।”

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে নিবন্ধন করে যতদ্রুত সম্ভব সবাইকে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান এ কর্মকর্তা।

প্রথম ধাপের এই টিকা পাবেন সম্মুখসারির ‘করোনাযোদ্ধারা।’  তারমধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধারা।  এছাড়া ৫৫ বছরের বেশি বয়সীরা প্রথম ধাপে টিকা নিতে পারবেন।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রথম দিনে এক হাজার জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে সদর হাসপাতালে দেড়শ, পুলিশ হাসপাতালে ৫০ এবং ৮টি উপজেলার প্রতিটিতে একশজন করে মোট আটশ জনকে টিকা দেওয়া হবে।

“প্রথম দিনেই আমি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।”

সরকারের দেওয়া ওয়েবসাইটে আবেদনের পর নিবন্ধিতরা নির্ধারিত তারিখে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করতে হবে।

বাগেরহাটে ১১০টি বুথে প্রথম দিনে এক হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

২২০ জন টিকা প্রয়োগকারী অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪৪০ জন সেচ্ছাসেবী এ টিকাদান কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে।  বাগেরহাট জেলায় মোট ৪৮ হাজার ডোজ টিকা প্রয়োগ করবে স্বাস্থ্য বিভাগ।

নারায়ণগঞ্জ

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ টিকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে দুটি সরকারি হাসপাতালসহ চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান শুরু করেন।

রোববার সকাল ১০টায় শহরের মন্ডলপাড়ায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে প্রথম টিকা নেন তিনি।

এরপর একে একে টিকা গ্রহণ করেন চিকিৎসক, মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকসহ পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ।

তবে টিকা গ্রহণ করে জেলায় কোথাও কোনো সমস্যা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

উদ্বোধনকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী আবুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ, জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন জাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শহরের খানপুর ৩শ’ শয্যা ও শহরের মন্ডলপাড়ায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ চারটি উপজেলায় টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলায় ৬টি কেন্দ্রে ২৪টি বুথে টিকাদান কার্যক্রম চলছে।

“অনলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন।”

জেলায় প্রথম মহিলা হিসেবে করোনার টিকা নেন হরিহরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সামসুন নাহার বেগম।

সামসুনাহার বেগম সাংবাদিকদের জানান, তিনি জেলায় প্রথম নারী হিসেবে টিকা গ্রহণ করে সুস্থ আছেন।

“কোন সমস্যা হয়নি।”

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের জানান, তিনি টিকা গ্রহণ করে আধা ঘণ্টা হাসপাতালে রেস্ট নেন।  তিনি সুস্থ আছেন। টিকা গ্রহণের কারণে কোনো সমস্যা অনুভব করেননি।

অন্য জেলার তুলনায় নারায়ণগঞ্জে নিবন্ধনের সংখ্যা তুলনামূলক কম জানিয়ে তিনি সবাইকে নিবন্ধন করার আহ্বান জানান।

নেত্রকোণা

প্রথম দিনে নেত্রকোণায় এক হাজার সাতজনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার সকাল সোয়া ১১টার দিকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, জেলার ১০টি উপজেলায় প্রথম দফায় ৩২ হাজার জনকে টিকা দিতে ২২টি বুথে ১৩২ জন কর্মী ছাড়াও ১০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

“রোববার জেলাজুড়ে মোট এক হাজার সাতজনকে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ চলছে।”

প্রথম দফায় নেত্রকোণায় ৭ হাজার ২০০টি টিকা এসেছে। পরে বাকি টিকাগুলো এসে পৌঁছবে বলে জানান সিভিল সার্জন।

কোনো ভাবে বিভ্রান্ত না হয়ে টিকা সবাইকে গ্রহণের আহ্বান জানান রেডক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হক টুকু।

জেলার ডিসি আব্দুর রহমান বলেন, “করোনা টিকা গ্রহণ করার পর সুস্থ আছি।”

দিনাজপুর

দিনাজপুরে প্রথমে টিকা নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।

রোববার বেলা সোয়া ১১টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুথে তিনি টিকা গ্রহণ করেন।

এরপর চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং মুক্তিযোদ্ধারা পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহণ করেন।

জেলা সিভিল সার্জন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রথম দফায় দিনাজপুর জেলায় ৪৫ হাজার মানুষকে এ টিকা প্রদান করা হবে।

রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার ১৩ উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে সিভিল সার্জন জানান।

শরীয়তপুর

প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদমান সাকিব এবং সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক জাহাঙ্গীর আলম সরদারকে এ টিকা প্রদান করা হয়েছে।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ জানান, এরইমধ্যে শরীয়তপুরে ১৮ হাজার জনকে দেওয়ার মতো ৩৬ হাজার ডোজ টিকা এসছে। রোববার তালিকাভুক্ত শরীয়তপুর জেলায় ২৪০ জনকে এ  টিকা প্রদান করা হবে।

শরীয়তপুরে সকাল ৯টায় সদর হাসপাতাল চত্বরে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। 

বগুড়া

বগুড়ায় সকাল ১১টায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে টিকা দান শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক প্রথম টিকা নিয়ে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

সে সময় টিকা নিতে আসা উৎসাহী মানুষদের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল ১০ টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে জেলা প্রশাসক মন্জুরুল হাফিজ টিকা নিয়ে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

পরে সিভিলে সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা টিকা  নেন।

প্রথম দফায় এ জেলায় ৪ হাজার ৮০০টি টিকা এসেছে। সেগুলো ২০টি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

নোয়াখালীতে প্রথম টিকা দিলেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী

নোয়াখালী

নোয়াখালী সদর-সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী টিকা নিয়ে জেলায় টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

সকাল ১০টায় ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের নির্ধারিত বুথে তিনি টিকা নেন।

এরপর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম  শামছুদ্দিন জেহান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেরারেশনেরসহ  সভাপতি আতাউর রহমান মানিকসহ সম্মুখ সারির ‘করোনাযোদ্ধাদের’কে টিকা দেওয়া হয়।

টিকা নেওয়ার পর সংসদ সদস্য একরামুল করি চৌধুরী গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে টিকা নিয়ে নিরাপদ থাকার আহ্বান জানান।

রোববার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ২২০ জনকে এবং পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ৫০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

টিকা দেওয়ার জন্য জেলায় ১০টি কেন্দ্রে ৩৩টি বুথ খোলা হয়েছে। প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে দুইজন করে স্বাস্থকর্মী এবং চারজন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হয়েছে।

টিকা দেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে প্রায় তিন হাজার বলে জানায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।