জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ছানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি শনিবার দুপুরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ছানোয়ার (৪২) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।
গত ১৩ জানুয়ারি জেলার লালপুর উপজেলার চষুডাঙ্গা এলাকার এক গমখেত থেকে সুলতানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪০ বছর বয়সী সুলতান নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্ত করে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনি শনাক্ত করে। ছানোয়ার খুব দ্রুত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। তাকে ধরতে পুলিশ দেশের অন্তত সাতটি শহরে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
“গ্রেপ্তারের পর ছানোয়ার প্রথমে পুলিশের কাছে, পরে আদালতে সুলতানকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। “
পুলিশ সুপার বলেন, “সুলতানও ও ছানোয়ার উভয়ই মলম পার্টির সদস্য। সুলতান বন্ধু ছানোয়ার হোসেনের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা পরিশোধ না করায় ছানোয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে সুলতানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ১২ জানুয়ারি রাত ৯টায় সুলতানকে ডেকে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করেন।”