‘বিয়ের আগে’ জাবি শিক্ষার্থীদের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার উদ্যোগ

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2021, 08:57 AM
Updated : 6 Feb 2021, 10:31 AM

শনিবার জাবির প্রাণ রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, এরজন্য রোববার সকাল ৯টা থেকে থেকে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষাগারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম থেকে ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হবে।

রবি, সোম ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩শ’ শিক্ষার্থীর নমুণা সংগ্রহ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, থ্যালাসেমিয়ার বাহক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আগাম তথ্য জানিয়ে দেওয়া। এতে করে তারা যেন সম্পর্কে জড়ানো কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পারে।”

এ ব্যাপারে প্রকল্পের উদ্যোক্তা ও গবেষণা প্রধান এ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম খলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কাজটা মূলত থ্যালসেমিয়া রোগীদের নিয়ে না। যারা থ্যালাসেমিয়া বহন করছে তাদের নিয়ে।”

“থ্যালাসেমিয়া যদি কেউ বহন করে থাকে, তাহলে তার কোনো ক্ষতি হবে না। থ্যালাসেমিয়া বহন করে এমন কাউকে বিয়ে করলে ক্ষতিটা হবে।”

তিনি জানান, দম্পতির দুইজনই থ্যালাসেমিয়া বহনকারী হলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ার রোগ নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

“এক্ষেত্রে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ২৫%।”

অধ্যাপক খলিল জানান, বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারে থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার স্ক্রিনিং টেস্ট করাতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাগে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সেটা করে দেওয়া হচ্ছে।

তাদের কর্মসূচি সফল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বড় পরিসরে এ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশানুক্রমিক রক্তরোগ। নীরব ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত এই ব্যাধিটি বাংলাদেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।

রক্তের এ রোগের ফলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনকারী জিনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে হিমোগ্লোবিন হল সেই প্রোটিন যা অক্সিজেন সরবরাহ করে। স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা কম সৃষ্টি হওয়ায় তারা মৃদু বা তীব্র রক্তাল্পতার শিকার হতে পারেন।