বৃহস্পতিবার বিকালে ভৈরব পৌরসভার দুর্জয় মোড়ে ‘ইকোনো’ পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরে।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পুলিশ ও জনগণের সহায়তায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।
তিন সম্পাহের মধ্যে এটি এই উপজেলায় বাসে অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় ঘটনা।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার ইকোনো পরিবহনের চালক স্বাধীন বিশ্বাস বলেন, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার মহাখালী যাচ্ছিল বাসটি। বাসটি ভৈরব কাউন্টারের সামনে থামার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ যাত্রীরা পিছনে ধোয়াঁ দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।
এই সময় যাত্রীদের কেউ কেউ হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে নেমে যান; কেউ কেউ জানালা দিয়ে লাফিয়েও নামেন বলে তিনি জানান।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন অফিসার মো. আবু বক্কর বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পুলিশ ও জনগণের সহায়তায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি; তবে যাত্রীদের আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি পুড়ে গেছে বলে তিনি জানান।
আবু বক্কর আরও বলেন, যাত্রীদের বিড়ি-সিগারেট বা অন্য কোনো উৎস থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে।
ওসি শাহিনেআরও জানান, গত ১১ জানুয়ারি ভৈরবে ঢাকাগামী ‘বিসমিল্লাহ’ পরিবহনের একটি বাসে আগুন লেগে এর চালক চালক আবুল হোসেন (৫৮) নিহত হয়েছিলেন। বাসটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
“এর আগে ৩ জানুয়ারি দুর্জয় মোড়ে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী ‘অনন্যা’ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ড হয়।”
আগুনে বাসটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।