কিশোরগঞ্জে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন, ছেলের ফাঁসির রায়

কিশোরগঞ্জে এক দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন এবং তার ছেলেকে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2021, 08:30 AM
Updated : 3 Feb 2021, 08:37 AM

বুধবার জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহিম এ রায় দেন বলে এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আবু সাইদ ইমাম জানিয়েছেন।

নিহত আমিনুল হক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের মহিষকুড়া সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মহিষকুড়া গ্রামে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মানিক মিয়া ও তার বাবা নূরুল করীম। তাদের বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার জিনারী গ্রামে।

তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডেরর সাজা দেওয়া হয়েছে।

ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি মানিক মিয়া মামলার শুরু থেকেই পলাতক থাকলেও তার বাবা নূরুল করীম রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জানান এ আইনজীবী।

মামলার বিবরণ থেকে এপিপি আবু সাইদ ইমাম জানান, ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমিনুল হকের ছেলে রক্সি  (১৪) প্রাইভেট পড়ে নিকটবর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গাবুরগাও গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবক মানিক রক্সিকে মারধর করে বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখেন।

খবর পেয়ে রক্সির বাবা আমিনুল হক (৫৪) ঘটনাস্থলে যান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির শুরু হলে মানিক ও তার বাবা নূরুল করীম আমিনুলকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে মানিক ধারালো ছোরা দিয়ে আমিনুল হকের বুকে আঘাত করে।

গুরুতর আহত আমিনুলকে প্রথমে জেলা সদরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ১৭ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে নূরুল করীম, মানিক মিয়া এবং তার দুই ভাইসহ  চারজনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হোসেনপুর থানার এসআই মিনহাজউদ্দিন ২০১০ সালের ১৭ অগাস্ট সাজাপ্রাপ্ত দুইজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে আবু সাইদ ইমাম এবং একেএম মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল এবং আসামি পক্ষে লুৎফুর রশীদ রানা ও আব্দুর রউফ পরিচালনা করেন।