পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন খান মঙ্গলবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
সে সময় সেখানে শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এর পরপরই সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ওসি মিরাজ হোসেন দাবি করেছেন, নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি প্রার্থীর সঙ্গে মিছিলে বা বাইরে কোথাও ছিলাম না।”
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, ওসি অন্যদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, “ইউএনওর সঙ্গে কাগজপত্র রিসিভ করছিলাম।”
কাগজপত্র রিসিভ করা আপনার কাজ কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. আব্দুল হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
জেলার পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান বলেন, “কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দালিখের সময় ওসি বা পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থাকতে পারেন। তবে ওসির কোনো প্রার্থীর সঙ্গে ছবি তোলার কথা নয়। তিনি যদি প্রার্থীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহলে সেটা ঠিক করেননি। ছবিটি আমি এখনও দেখিনি। যদি তিনি এমন ছবি তুলে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “কোনো সরকারি কর্মকর্তা প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন না। যদি কেউ দিয়ে থাকেন সেটা আচরণবিধির লঙ্ঘন।”
শিবচরের ওসি মিরাজ হোসেন যেভাবে উপস্থিত ছিলেন, সেটা তিনি পারেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি ইউএনও।
পঞ্চম ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর সদর ও শিবচর পৌরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।