বাগেরহাটে স্বর্ণের দোকানের ‘১০০ ভরি’ অলংকার চুরি

বাগেরহাট শহরে একটি স্বর্ণের দোকানের ‘একশ ভরির’ বেশি স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2021, 11:35 AM
Updated : 2 Feb 2021, 11:35 AM

সোমবার রাতে রেলরোডে ড্রিমল্যান্ড সুপার মার্কেটের ‘রুপালি জুয়েলার্সে’ এই চুরির ঘটনা ঘটে পুলিশ জানিয়েছে।

রুপালি জুয়েলার্সের মালিক ভোলানাথ দাস বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি যান। মঙ্গলবার সকালে মাকের্টের মালিক পক্ষ দোকানে তালা ভাঙা দেখতে পেয়ে তাকে খবর দেয়।

“আমি দোকানে এসে দেখি আমার লোহার সিন্ধুক ভাঙা। সিন্ধুক ও শোকেসে কোনো স্বর্ণালংকার নেই; একেবারে ফাঁকা। এতে আমার একশ ভরির অধিক সোনার গহনা রাখা ছিল, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ষাট লাখ টাকার অধিক।”

তিনি বলেন, চোরের দল দোকানের শাটার ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রথমে দোকানের সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। তবে সিসি ক্যামেরায় একজনের উপস্থিতি দেখা গেছে, যা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করে বাগেরহাট জুয়েলারি মালিক সমিতির একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত দিনেও এই ধরনের চুরি কমবেশি হয়েছে। তবে অন্য সময়ের চেয়ে বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে রুপালি জুয়েলার্সে। এটি একটি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা।

এই দোকান চোরেরা একশ ভরির অধিক স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানান তারা।

অধিকাংশ চুরির ঘটনার কোনো কিনারা হয়নি দাবি করে তারা বলেন, কিছুদিন আগে এই দোকানের অদূরে সাধনার মোড়ের আর এস টেলিকম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চোর ঢুকে প্রায় আট লাখ টাকার মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। সেই চোরেদের সিসি ক্যামেরায় থাকা ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।

রুপালি জুয়েলার্সের চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারে পুলিশ জোরাল ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করছেন জুয়েলারি মালিক সমিতির নেতারা।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “জুয়েলারি দোকানটির শাটার ভেঙে চোরের দল স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। চুরির ঘটনার পর আমরা সেখানে পরিদর্শন করেছি। তার দোকানের সিন্ধুকে ও শোকেসে একশ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। ওই জুয়েলারি দোকানে কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার ছিল তার তালিকা আমরা চেয়েছি। আমরা দোকানের সিসি ক্যামেরার সব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি।”

এই ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে এবং চোর চক্রটিকে ধরতে তদন্ত শুরু করেছেন বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।