মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মো. শাফিন মাহমুদ জানান, ভোরে রামপাল উপজেলা বগুড়া নদীর চর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গোবিনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমান শেখ (৫২) ও তার ছেলে মোস্তাকিন শেখ (২৭)।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, “গোপন খবরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রামপাল উপজেলার বগুড়া নদীর চর থেকে সুন্দরবন থেকে শিকার করে নিয়ে আসা ৪২ কেজি হরিণের মাংস ও তিনটি মাথাসহ বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
“সোমবার সুন্দরবন থেকে ফাঁদ পেতে অন্তত তিনটি চিত্রল হরিণ শিকার করে এই শিকারীরা। পরে তারা এই হরিণগুলো কেটে করে লোকালয়ে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তবে হরিণের চামড়া তারা কি করেছে তা জানায় নি।“
শাফিন বলেন, এ চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।
এর আগে গত ৭২ ঘণ্টায় বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোংলা উপজেলা থেকে একটি হরিণের মাথা ৬৭ কেজি মাংসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ।