এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ: সাক্ষ্য ফের পেছালো

‘সাক্ষী হাজির না হওয়ায়’ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারো পিছিয়েছে। এ নিয়ে দুই দফা পেছালো এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2021, 08:53 AM
Updated : 27 Jan 2021, 08:53 AM

বুধবার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন থাকলেও সাক্ষী না আসায় বিচারত মোহিতুল হক ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেন বলে জানান আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম।

গত ২৪ জানুয়ারিও সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছিল।

পিপি জানান, মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা ধর্ষণ মামলা এবং ওই গৃহবধূর স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি এবং ছিনতাইয়ের অপর মামলাটি একইসাথে বিচারের জন্য আদালতে আবারো আবেদন জানারোর প্রেক্ষিতে দুই দফ পেছানো হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান জানান, একই ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দুই আদালতে বিচার কাজ পরিচালিত হলে সাক্ষীরা দুই আদালতেই সাক্ষী দিতে হবে। এতে নানা অসঙ্গতি দেখা দেবে। এতে বিচার প্রক্রিয়াও ব্যাহত হবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দু’টি মামলাই একই আদালতে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।

গত ১৭ জানুয়ারি আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগকর্মী সাইফুরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত আর দুইজনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে সরাসরি জড়িতরা হলেন, প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল এবং মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া।

আর সহযোগীরা হলেন রবিউল ইসলাম এবং মাহফুজুর রহমান মাসুম।

এর আগে ডিএনএ টেস্টে এই আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে ঘটনাস্থলে পাওয়া ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।

এ ঘটনায় পরদিন সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।