রোববার সকালে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, অপহরণের দিন গত বুধবার শার্শা থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি মামলা হয়। শিশুটি উদ্ধারের পর ওই মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর বাড়ি থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিশুটিকে উদ্ধারের পরপরই অভিভাবকদের কাছে নবজাতকটিকে বুঝিয়ে দেওয়া কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “শনিবার রাতে আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যশোর পিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রোববার তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।”
এ ঘটনায় আটকরা হচ্ছেন, অপহরণকারী মিলন গাজীর স্ত্রী সালমা খাতুন (২৩) এবং তার শ্বশুর বাছের গাজীর ছেলে লুৎফর গাজী (৫৫)।
ওসি বদরুল আরও বলেন, “শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর আমরা তাকে উদ্ধারের জন্য মাঠে নামি। পরে শার্শা থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।”
শিশুটির বাবা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, “অপরিচিত এক নারী ১৫ দিন আগে আমাদের বাসায় এসে মাতৃত্বকালীন কার্ড করে দেবে বলে জানান। বুধবার সকালে বাসায় এসে আমার স্ত্রী ও আমার বাবাকে বাগআঁচড়া বাজারে নিয়ে যান।
“সেখানে নাশতা করার জন্য রেস্তোরাঁয় যায় সবাই। আমার স্ত্রী ও আমার বাবা নাশতা করার সময় ওই নারী আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে যায়। পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি।”
উদ্ধারের পরপরই শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।