শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং-এ জানানো হয়, আগের রাত পৌনে ২টার দিকে শরণখোলা উপজেলা সদর থেকে চামড়াসহ তাদেরকে ‘গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর কথাও রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং একই উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৫)।
প্রেস ব্রিফিং এ জেলার পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, বিভিন্ন বয়সের চিত্রল হরিণের এসব চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখা হয়েছিল।
পাচারকারী চক্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ইলিয়াস ও মনিরুলকে আটক করে।
“তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শরণখোলা উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামে মনিরের বাড়ির কাঠের দোতলা ঘরের পাটাতনের উপর দুটি ব্যাগে রাখা মোট ১৯টি ছোট বড় হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।”
এ চক্র সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে তার চামড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে রেখেছিল জানিয়ে তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের চক্রের সাথে আর কারা আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা পাঁচ রাস্তার মোড়ের বাসস্ট্যান্ড থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়াসহ এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও বনবিভাগ।