উপজেলার পালাখাল ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের অবস্থিত দেড় কিলোমিটার এ খালটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পলি ও কাদা জমে ভরাট হয়েছিল। ফলে বর্ষার পানিতে ডুবে থাকতো ওই এলাকার প্রায় ৪০০ একর কৃষি জমি; সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারতেন না কৃষকরা।
খালের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় হাসি ফুটেছে স্থানীয় কৃষকদর মুখে। সঠিক সময়ে ফসল ফলানোর আশায় বুক বেঁধেছেন তারা।
মেঘদাইর গ্রামের কৃষক সফিক মিয়াজী বলেন, “সুন্দরী খালের সংস্কার কাজ করা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষার পানিতে আমাদের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকত। এতে করে আমাদের কষ্টের ফসলগুলো পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যেত।
“জমি থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় সঠিক সময়ে চাষাবাদ করাও যেত না। যার ফলে বাজারে আমাদের ফলানো ফসলের ভালো মূল্য পেতাম না। আবার শুস্ক মৌসুমে পানির অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারতাম না। এতে করে এই এলাকার শত শত কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতো।”
কৃষক আলী আক্কাছ বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও খালটির সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় তারা আবার আশায় বুক বেঁধেছেন।
এ বিষয়ে পালাখাল ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ বলেন, “গত কয়েকদিন আগে সুন্দরী খালের পুন:খনন কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে এই অঞ্চলের ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সমাধান হবে।
“তাছাড়া খালের পানি সেচের মাধ্যমে শুস্ক মৌসুমেও কৃষকরা রবি শস্যের আবাদ করতে পারবেন। এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ণ হবে বলেও বিশ্বাস করি।”
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কচুয়া উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫০ বছর পর প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুন্দরী খালের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে খাল পুনঃখননের কাজ শেষ হবে। এখন কৃষকরা সারা বছরই সফল ফলানোর সুযোগ পাবেন।
খাল খনরের আগে কৃষকদের মাঝে প্রচারণার ব্যাপারে তিনি বলেন, “খাল খননের কথা কৃষকদের আগেই জানানো হয়েছিল। খালের আশপাশে জমিতে কৃষকদের খুব একটা ফসল নেই। তারপরেও যেসব কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।”