রোববারের এই ঘটনা পুলিশ শুনেছে বললেও এখনও মামলা হয়নি বলে সদর মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রহিম জানান।
রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিরাসার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে ওই নারীর স্বজনরা জানান।
২৫ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ সদর উপজেলার শিলাউর গ্রামের বাসিন্দা। তাকে জেলা সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূর স্বজনরা জানান, কয়েক মাস আগে এই নারীর ছেলের সঙ্গে তার আপন চাচা হুমায়ূন মিয়ার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনায় হুমায়ূনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই নারীর পরিবার। এরপর থেকে মামলাটি তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন হুমায়ূন।
গৃহবধূর মা [নাম প্রকাশ করা হলো না] সাংবাদিকদের বলেন, ওই মামলার জেরে রোববার সন্ধ্যায় তার মেয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য আত্মীয়ের বাসা থেকে জেলা শহরে আসছিলেন।
“বিসারাস এলাকায় কয়েকজন লোক তার হাত-পা বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে শরীরের বিভন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে তাকে।”
এই সময় তার আর্তচিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে মেয়েটির মা জানান।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রহিম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।