আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সেনাপ্রধান রোববার ১০ শয্যা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর ঘুরে দেখেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, “দেশের যে কোনো প্রয়োজনে সরকারের দেওয়া যে কোনো কাজে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কারণ দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। তাই দেশের জন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করতে আমরা বাধ্য।”
সেনাবাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশবাসী লক্ষ্য করেছেন যে, করোনা মহামারীতেও সেনাবাহিনী বেশ তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী যখন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তখন সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তখন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি দেশের জন্য।”
৬৪ জেলার মধ্যে ৬২টি জেলায় এই সময়ে ১১ শ থেকে ১২ শ সেনা সদস্য প্রতিদিন মানুষের জন্য কাজ করেছেন, গণসচেতনতা সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের মাঝে মাস্ক এবং ইকুইপমেন্ট বিতরণ করেছেন বলে সেনাপ্রধান জানান।
“এভাবেই অতীতের মতো কঠোর দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। ভবিষ্যতেও যদি দেশের স্বার্থে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে জনগণের মঙ্গলের জন্য আমরা সেটা করতে সবসময় প্রস্তুত।”
সেনাপ্রধানের বাবার নামে নির্মিত আব্দুল ওয়াদুদ সরকার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল, চাঁদপুরের ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জুনে সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর জেনারেল আজিজ আহমেদ এই প্রথম চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় তার নিজের গ্রামে গেলেন।