এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ

স্বামীর সঙ্গে সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে যাওয়া এক নববধূকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানসহ আট আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2021, 06:35 AM
Updated : 17 Jan 2021, 07:42 AM

সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।

এই আট আসামি হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।

এ আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম জানান, নিয়ম অনুযায়ী শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়।

এ সময় আসামি মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্করের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে। এছাড়া আসামিদের অব্যাহতির আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।

ঘটনার পরদিন তার স্বামী শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ওই ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। প্রতিবাদে সরব হয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও অধিকার সংগঠন।

তদন্তে নেমে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটজনের সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ডিএনএ পরীক্ষাতেও আসামিদের নমুনার সাথে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়।

তদন্ত শেষে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সাইফুরসহ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

সেখানে বলা হয়, আট আসামির মধ্যে সাইফুরম, রনি, তারেক, অর্জুন, আইনুল ও রাজন ধর্ষণে সরাসরি জড়িত ছিলেন, বাকি দুজন তাতে সহযোগিতা করেছেন।

সিলেটের ওই ঘটনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনায় এ ধরনের অপরাধের শাস্তি বাড়ানোর দাবি আবারও আলোচনায় আসে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বিক্ষোভের মধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। পরে তা সংসদেও আইন হিসেবে পাস হয়।

অবশ্য আগের আইনেও দলবেঁধে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল।

পুরনো খবর