পৌরসভার নির্বাচন: মোংলায় ভোট বর্জন বিএনপির

কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাগেরহাটের মোংলাপোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2021, 09:56 AM
Updated : 16 Jan 2021, 09:56 AM

শনিবার বেলা ১২টার দিকে দিকে বিএনপি মেয়র প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান বিএনপি দলীয় প্রার্থীর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

একই সময়ে  মাংলাপোর্ট পৌরসভার  ৯টি ওয়ার্ডের ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. জুলফিকার আলী বলেন, “ভোট শুরুর হওয়ার পর পরই আওয়ামী দলীয় প্রার্থী শেখ আব্দুর রহমানের সমর্থকরা প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে নেয়। তারা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে জোর করেন এবং অনেক ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।“

এ সময় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি পাননি বলে অভিযোগ বিএনপির এই প্রার্থীর।

কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন শেখ বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি ভাল থাকলেও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তা অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান বলেন, “সকাল ৮টা থেকে থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। তারা উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন।

“বিএনপি দলীয় প্রার্থী তার পরাজয় বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে   মনগড়া অভিযোগ তুলে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।”

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোংলাপোর্ট পৌরসভার নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ফরাজী বেনজীর আহমেদ বলেন, “সকালে ভোট শুরুর পর বিএনপির  দলীয় মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী ১২টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। দুই একটি কেন্দ্রে তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

“হঠাৎ করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনি, তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে জুলফিকার আলী আমার কাছে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেন নি “

মোংলাপোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে ১২টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারিবাহিনী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে মাঠে রয়েছে।