বসুরহাট: বিক্ষুব্ধ আবদুল কাদের মির্জা ভোটের দিনে স্বস্তিতে

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতার সমালোচনা করে আলোচনায় উঠে আসা নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2021, 09:54 AM
Updated : 16 Jan 2021, 10:02 AM

শনিবার নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন এই আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবি করে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বলেছিলাম।

“আমি এখানে যে উন্নয়ন করেছি এবং করোনার সময় পাহাড়ের মতো মানুষের পাশে ছিলাম। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচনে এগুলো গুরুত্ব বহন করে।

“আমি শতভাগ আশাবাদী আমি নির্বাচিত হব।”

“আর নির্বাচিত না হলেও যিনি বিজয়ী হবেন তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বাড়ি ফিরে যাব” যোগ করেন তিনি।

আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিভিন্ন পথ ও কর্মী সভায় তার দলের কেন্দ্রীয় জেলার আধা ডজন নেতাদের তীব্র সমালোচনা করে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। তাকে হারানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ ছিল তার। ফলে সারা দেশের দৃষ্টি এখন সাড়ে ছয় বর্গ কিলোমিটার আয়োতনের প্রথম শ্রেণির পৌরসভা বসুরহাটের দিকে।

প্রায় ৩৫ হাজার জনসংখার বসুরহাটে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়েছে। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে ভোট কেন্দ্রগুলো।

১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের ২১ হাজার ১১৫ জন ভোটারের মধ্যে ১০ হাজার ৪৯৪ জন নারী এবং, ১০ হাজার ৬২১ জন পুরুষ ভোটারের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ তবে ইভিএম পদ্ধতিতে হওয়ায় ভোট গ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে।

এ নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী।

নির্বাচন অফিস জানায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারের ৪০০ সদস্য মাঠে রয়েছেন। র‌্যাবের ৩টি টিম, বিজিবি ৪ প্লাটুন, পুলিশের মোবাইল ৯টি টিম, স্ট্রাইকিং ২টি টিম, নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।

নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রধান দুই দলের প্রার্থীসহ মেয়র প্রার্থী ৩ জন, কাউন্সিলর ২৫ এবং সংরক্ষিত নারী প্রার্থী ৭ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হবে। এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ নেই।