মহামারীতে ৫১ কোটি টাকা ভ্রমণকর খুইয়েছে বেনাপোল

মহামারীর প্রভাবে গেল বছর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার চার ভাগের একভাগে নেমে আসায় রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকেছে।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2021, 08:05 AM
Updated : 16 Jan 2021, 10:38 AM

ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আদায়কারী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আকতার ফারুক জানান, ২০২০ সালে যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। অথচ ২০১৯ সালে ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আদায় হয় ৬৮কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

“করোনায় রাজস্ব আদায় কমেছে ৫১ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫০ টাকা।”

বেনাপোল থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে বেশি যাতায়াত করে থাকেন যাত্রীরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক হিমেল জাহান জানান, ২০১৯ সালে এ পথে ১২ লাখ ৫৫ লাখ ৯০০ জন যাত্রী ভারতে যান। আর বিশ্বব্যাপী মহামারীর কারণে গত বছর ৩ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জন বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী।

গত বছরের ১৩ মার্চ বাংলাদেশিদের ভ্রমণে ভারত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বছরের শেষ দিকে নভেম্বর মাস থেকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে। বর্তমানে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন মেডিকেল ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ও পুরানো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত যেতে পারছেন। আর ভারত থেকে এমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে আসতে পারছেন যাত্রীরা।

তবে কূটনৈতিক ভিসায় পারাপার সব সময় চালু ছিল বলেন বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল রহমান বলেন, মহামারীতে যাত্রী যাতায়াত কমে এসেছে। এতে ভ্রমণ খাতে সরকারের আয় কমেছে।

যাত্রীর যাতায়াত সুবিধার্থে নতুন জায়গা অধিগ্রহণের পরিকল্পনা এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।