কিশোরগঞ্জ পৌর নির্বাচন: একদিন আগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

কোনো মামলা না থাকলেও ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির শঙ্কায়’ কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের একদিন আগে এক জেলা বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2021, 01:59 PM
Updated : 15 Jan 2021, 01:59 PM

বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের চর শোলাকিয়া এলাকার নিজ বাসা থেকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাককে পুলিশ আটক করেছে।

শুক্রবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আমিনুল ইসলাম আশফাকের বিরুদ্ধে থানায় আগের কোনো মামলা না থাকলেও ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার আশঙ্কায়’ তাকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম আশফাককে আদালতে নেওয়া হয়।

“পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যায় আমিনুল ইসলাম আশফাককে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠনো হয়েছে।”

কুলিয়ারচরের নির্বাচন নিয়ে ‘শঙ্কায়’ বিএনপি

এদিকে জেলার কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলের জেলা সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

শুক্রবার বেলা ১১টায় পৌরসভার বেতিয়ারকান্দি গ্রামে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নূরুল মিল্লাত আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই শঙ্কা প্রকাশ করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল বলেন, সাফী উদ্দিন নামে বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ২৬ জন নেতা-কর্মীর নামে ‘গায়েবী মামলা’ দায়ের করা হয়েছে।

গভীর রাতে পুলিশ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং গালি-গালাজসহ হুমকি প্রদান করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বাড়িতে না থাকার জন্য পুলিশ তাদের নেতা-কর্মীকে চাপ প্রয়োগ করছে। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হান্নান, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ, সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শাহ আলম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আজাহার উদ্দিন লিটনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে কুলিয়ারচর থানার ওসি এ কে এম সুলতান মাহমুদ বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে পৌর এলাকার আলী আকবরী গ্রামের সবদর আলীর মাজারে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থীর ক্যাম্প ভাংচুর ও আলী আজগর নামে এক কর্মী হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ আসে।

এই অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি আলী আজগর (২৮) বাদী হয়ে থানায় ২৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন বলে ওসি জানান।

“নিয়মিত মামলার আসামি ধরতে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়েছে, যা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।”

পুলিশ কাউকে হুমকি দেয়নি বলে দাবি ওসির।