সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁয়, কনকনে শীতে কষ্টে দরিদ্র মানুষ

কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরের জেলা নওগাঁর খেটে খাওয়া মানুষ।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2021, 04:53 PM
Updated : 13 Jan 2021, 04:53 PM

বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে জেলার বদলগাছী উপজেলায়।

গত এক সপ্তাহ ধরে সকালে সুর্যোদয় হলেও হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা কমছে না কোনোভাবে। ঘন কুয়াশায় বুধবার সারাদিন রোদের দেখা মেলেনি।

অনেকেই প্রতিদিন কাজে যেতে পারছে না। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মানুষজন ঘরে ফিরে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন অসহায়, দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষেরা।   

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এই জেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় এই পর্যন্ত ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে।

“আমরা আশা করছি শীতে বোরো চারা রোপনের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। শেষ পর্যন্ত আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।”

মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ বলেন, রোবো ধানের চারা চাষের জন্য সাত বিঘা জমি প্রস্তুত করেছেন। গত দুই দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ার কারণে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব হচ্ছে না।

“তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে অনেক চারা নষ্ট হয়ে গেছে। বোরো চারা রোপন করার পর শীত ও ঠাণ্ডার কারণে বীজ নষ্ট হয়ে গেলে। চারা কিনে বোরো ধান রোপন করতে।”

তিনি আরও বলেন, তিনবারের বন্যায় অর্ধেক জমিতে আমন ধান হয়নি। তারপর যদি চারা কিনে রোবো আবাদ করতে হয় তাহলে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

নওগাঁর মুক্তির মোড়ের রবিউল মাহমুদ বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়লেও সেভাবে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে। ফলে অধিকাংশ দরিদ্র লোকজনকে চরম শীতকষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের সহকারী মিজানুর রহমান জানান, বুধবার নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশার মাঝেই শীতকষ্ট নিয়ে মাঠে-ঘাটে কাজ করছে কর্মজীবীরা। শীতের কারণে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে ঘরে ফিরতে দেখা গেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, জেলায় সরকারিভাবে এই পর্যন্ত ১১ উপজেলায় ৭০ হাজার ২৫০ কম্বল ও ৮শ চাদর বিতরণ করা হয়েছে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ হচ্ছে খুব কম।