বুধবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
হেফাজতে থাকাকালে পুলিশ ‘নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন মাহমুদ হাসান বিপু।
তবে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে সরেজমিনে দেখা যায়, তাকে নিতে আসা হেলিকপ্টারটি দুপুরে স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এই সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ দলের জ্যেষ্ঠ জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
হেলিকপ্টারে ওঠার সময় বিপু বলেন, “পুলিশ হেফাজতে আমাকে নির্মমভাবে মারপিট করা হয়েছে। এমন নির্যাতন কেউ চোরের সাথেও করে না। আমি নির্দোষ। আমি আপনাদের কাছে দোয়া কামনা করি যাতে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারি।”
এদিকে বিপুকে চিকিৎসা প্রদানকারী অর্থোপেডিক সার্জন আব্দুর রউফ বলেন, “বিপুর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার ডায়বেটিস ধরা পড়েছে। তার সুস্থ হতে সময় লাগবে।”
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় দিলিপ কুমার রায় বলেন, “ক্রমশ তার অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।”
শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিপুকে নির্মম নির্যাতন করে পুলিশ ক্ষান্ত হয়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে শহরের অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে পুলিশ।
তিনি এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
কোনো ব্যত্যয় হলে তা তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, পুলিশ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিপুর সঙ্গে আটক শাহিনুজ্জামান তপু ও ইমামুল হককে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
বাকিরা ‘নিরাপরাধ’ হওয়ায় তাদের আসামি করা হয়নি বলে তিনি জানান।