তৃতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচনে আগামী ৩০ জানুয়ারি ফেনী পৌরসভার ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোট হবে।
কয়েকটি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন যুবদল কিংবা ছাত্রদলের; তারা বিএনপির সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কোনো পদ-পদবীতে নেই।
সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে ‘আঁতাত’ করে পৌর বিএনপির একটি অংশ প্রার্থী দেননি বলে অভিযোগ করেছে দলের আরেক অংশ।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই পৌরসভায় মেয়র পদে পাঁচ জন, সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।
৩৬ জন ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচনী কার্যক্রমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেছবাহ উদ্দিন বলেন, “আমরা সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি ঠিক, তবে একটি মহিলা ওয়ার্ডসহ ৭টি ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী রয়েছে। পৌর বিএনপি প্রার্থী দিতে পারেনি বলে যারা দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছে তাদের সাথে সরকার দলের আঁতাত রয়েছে। আমাদের সাথে সরকার দলের কোনো আঁতাত নেই।”
জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম বলেন, “পৌরসভার নির্বাচনে যে কয়টি ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে সেগুলো যুবদলের নেতা-কর্মী; বিএনপির পদ-পদবীর কেউ নন। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে শুরু থেকে পৌর বিএনপির কোনো নেতা প্রার্থী হয়নি। যে কয়েকটি ওয়োর্ডে প্রার্থী হয়েছে শেষ পর্যন্ত সেগুলোও তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।”
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও পৌর নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, “নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে কোনো নেতা লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। এরকম কোনো অভিযোগ পেলে দলের সভায় আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী বিধিতে দলীয় মনোনয়নে মেয়র পদপ্রার্থী হলেও কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন নেই। তারপরও বিএনপি থেকে কাউন্সিলর পদে ভোট করার জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। এদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আর যারা জমা দিয়েছেন তারাও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।