কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বাড়ি চলে গেছেন।
সোমবার রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুসহ চারজনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরিদর্শক তাসমীম বলেন, “পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে বিপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরের পর তিনি বাড়ি চলে গেছেন।
“অন্য যাদের ডেকে আনা হয়েছিল তাদের মধ্য দুই-একজন অপরাধে জড়িত। ফলে মামলা দিয়ে তাদের আটক দেখানো হবে।”
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় শহীদ মিনারে ইমরান নামে এক কনস্টেবল সাধারণ পোশাকে এক নারীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন।
“তখন ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। পরিচয়পত্র দেখালেও ইমরানকে তারা ধরে নিয়ে যায় পাশের আবু নাসের ক্লাবে। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। সেখানে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু উপস্থিত ছিলেন।”
থানা থেকে ছাড়া পেয়ে বিপু জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, “হামলার শিকার পুলিশ সদস্যকে আমি রক্ষা করেছি। দলে দলে মানুষ তাকে মারতে উদ্যত হয়েছিল। আমি রিকশায় করে না নিয়ে গেলে খারাপ ঘটনা ঘটতে পারত। আমি তরুণ নেতাকর্মীদের বলব, আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”