যশোরে কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগ, আ.লীগ নেতা পুলিশ ‘হেফাজতে’

যশোরে এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুসহ চারজনকে ‘হেফাজতে’ নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2021, 08:36 AM
Updated : 12 Jan 2021, 09:13 AM

জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলছেন, যশোর পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল ইমরান সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা এলাকার শহীদ মিনারে ‘মারধরের শিকার’ হন। তাকে পুলিশ লাইনস হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশের ‘হেফাজতে’ থাকা বাকি তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা বিপুর অনুসারী বলে পুলিশ জানালেও তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশ সুপার আশরাফ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ইমরান সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে এক নারীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ‘ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী’ সেখানে গিয়ে তাদের ওপর ‘চড়াও’ হন।

“নিজের পরিচয় দিয়ে ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান এর প্রতিবাদ করেন। এসময় তারা তাকে শহীদ মিনার থেকে ধরে নিয়ে যায় পাশের আবু নাসের ক্লাবে। সেখানে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু উপস্থিত ছিলেন।”

ফাইল ছবি

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপুসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ লাইনসে নিয়ে যায় বলে জানান পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, “পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে তারা আইন ভঙ্গ করেছেন। যারা ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপুকে বন্ড নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।”

এদিকে শহীদ মিনারের ঘটনার পর রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িঘরে ‘ভাঙচুর’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু ও যুবলীগের সদস্য মুনসুর আলম বলছেন, সোমবার রাত ২টার দিকে পুলিশ তাদের দুজনের এবং আরও কয়েকজন নেতার বাড়িতে গিয়ে ‘গালিগালাজ’ করে এবং বাড়ির সামনের সিসি ক্যামেরা ‘ভাঙচুর’ করে।

একই অভিযোগ করে যশোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, “ঘটনা ঘটেছে পুরাতন কসবায়, কিন্তু পুলিশ কেন আমার শঙ্করপুরের বাড়ি ভাঙচুর করল বুঝতে পারছি না।”

আওয়ামী লীগ নেতাদের এই অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তার ‘জানা নেই’।

আর কনস্টেবল ইমরানকে মারধরের বিষয়ে কথা বলতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামানকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তারা ধরেননি।