নিহত নাইমুর রহমান নাটোর জেলার বড়াই গ্রামের শফিকুল ইসরামের ছেলে। সেঞ্চুরি অ্যাগ্রো লিমিটেডের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সোমবার সকালে পৌর শহরের চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে একটি মোটর সাইকেল পড়ে ছিল বলে সদর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত আতাউর রহমান জানান।
তিনি বলেন, কারা কেন তাকে হত্যা করেছে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সকালে রাস্তার ওপর ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) শাহেদ আহম্মেদ, ওসি তদন্ত ও সিআইডিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শাহজাহান নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, তিনি পৌরসভার সড়ক উন্নয়নের কাজের যুক্ত। সেই কাজ শেষে ভোর ৫টার দিকে ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিন যুবক তার গতিরোধ করে।
“তারা আমার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিতে চাইলে তারা আমাকে ছুরির ভয় দেখায়। পরে আমি সব দিয়ে দিই।”
তবে নাইমুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিনতাইকারীদের হাত আছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।