বায়ো ফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষেই ভাগ্য বদলে গিয়েছে এ গ্যারেজের মালিক মোহাম্মদ হানিফের।
সাত লাখ টাকা বিনিয়োগ করে বর্তমানে বছরে এক লাখ টাকা করে আয় করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে হানিফের সংসার। শহরের স্বর্ণখোলার বাসিন্দা আ. রাজ্জাক গাজীর ছেলে তিনি।
হানিফ জানান, দুই বছর আগে তিনি ৩৬ শতাংশ জায়গাটি ভাড়া নেন। সেখানে গাড়ি রাখার গ্যারেজ করেন।
“এতে যেই টাকা আয় হতো তা দিয়ে আমার খুব একটা লাভ হতো না। তখন আমি লক্ষ্য করে দেখলাম, আমার গ্যারেজের পুরোটা ব্যবহার হচ্ছে না। তখন আমি মাছ চাষের জন্য গ্যারেজের অব্যবহৃত অংশটা বেছে নিলাম।”
ইউটিউবে প্রথম এ পদ্ধতিতে মাছ চাষাবাদের সাথে পরিচিত হন হানিফ।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমি গাড়ির গ্যারেজের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছি। বিজ্ঞান সম্মত হওয়ায় অল্প জায়গাতেই অনেক বেশি মাছ চাষ করতে পারছি। এতে করে অল্প খরচে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বর্তমানে আমি বছরে প্রায় এক লাখ টাকা করে আয় করছি।”
ভবিষ্যতে কর্মপরিধি আরও বাড়ানোর স্বপ্ন রয়েছে তার।বায়ো ফ্লক্স পদ্ধতিতে চাষ করা মাছ খেতেও সুস্বাধু বলে জানান তিনি।
হানিফের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরামর্শ নিতে অনেক বেকার যুবক তার খামার দেখতে আসেন।
তারা জানান, অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা উপর্যন করছেন তারা। একই সাথে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষটাও শিখছেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, একটি গ্যারেজের অব্যবহৃত অংশতে মাছ চাষের মাধ্যমে নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি মাছের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছেন হানিফ।
পরিত্যক্ত জমিতে এ ধরনের মৎস্য খামার গড়ে তোলায় জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।