এই সময় অপহরণকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে, যদের কাছ থেকে ‘মুক্তিপণের’ টাকা, মোটরসাইকেল এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
এসপি মহিবুল ইসলাম খান বলেন, বুধবার রাতে পাবনা শহরের মেরিল বাইপাস এলাকা থেকে জেলার সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কোবাদ আলী ব্যাপারী (৫৩) ‘অপহৃত’ হন।
“অপহরণকারীরা কোবাদ বেপারীর পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে তারা বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা দেয়। এরপরও অপহরণকারীরা তাকে মুক্তি না দেওয়ায় তারা আমিনপুর থানায় অভিযোগ করেন।”
গ্রেপ্তাররা হলেন সিংগা উত্তরপাড়ার আহম্মদ আলীর ছেলে মামুন (২১) ও চর আশুতোষপুরের দেওয়ান আব্দুল্লাহর ছেলে দেওয়ান আসাদুল্লাহ তুষার (২৫)।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা পেশাদার অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে এবং এই চক্রের আরও সদস্যদের আইনের আওয়ায় আনার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় পাবনার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের আদালতে নিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও তিনি জানান।