বুধবার রংপুর মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার প্রধান ও এডিসি (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, তিস্তা নদীর চর টাংরির বাজার এলাকায় আগের রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মাতব্বর আব্দুল হালিমের বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার মেট্রোপলিটন থানার হারাগাছা এলাকায়।
হারাগাছ পৌরসভার কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ বলেন, “টাংরির বাজারে সালিশ বৈঠকে ফজলুর রহমান ও চান মোহাম্মদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাশের একটি হোটেলে খেতে বসেন আব্দুল হালিম। এ সময় ফজলুর রহমানের লোকজন সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এরপর একটি অটোরিকশায় করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা।
“পরে হালিমকে রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।”
পুলিশ কর্মকর্তা উত্তম জানান, আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর থানায় পাঠানো হয়। সালিশ বৈঠক যেখানে বসেছিল, সেটি লালমনিরহাট সদর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানেই মামলা হবে।
তিনি বলেন, “আব্দুল হালিম হারাগাছের একটি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক। তামাক কেনাবেচার জের ধরে ফজলুর ও চাঁনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এর জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।”