তারা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত নদীতে কিছু পানি থাকে, যা দিয়ে শীতকালীন আবাদ চলে। এবার ডিসেম্বরেই পানি শুকিয়ে তিস্তা ধু ধু করছে।
কৃষকরা বলছেন, কয়েক দফা দফার বন্যা নদী তীরের জমিতে পলির মোটা আস্তরণ পড়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে। পলি যেমন জমির উর্বরতা বাড়ায়, তেমনি আবার অতিরিক্ত পলিও আবাদে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
তিস্তাপাড়ের কাশিয়াবারী এলাকার রফিজ উদ্দিন (৬০) বলেন, “বাহে সাংবাদিকের বেটা দেখছেন তো হামার কত না কষ্ট; হামার তো শ্যালো মেশিন নাই; তাই হামরা ভারে করে বালতি দিয়ে পানি দিই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে পানি দিতে হয় জমিতে। না হলে আবাদ হয় না হামার।”
আমন উঠলেই সেচ নির্ভর বোরো মৌসুমের ধানের আবাদ শুরু হবে এ অঞ্চলে। কিন্তু আগেভাগে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় কিছুটা সংশয় প্রকাশ করছেন নদী ও কৃষক আন্দোলনের নেতা তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি।
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতাকে যদি ঠিক রাখতে হয় তাহলে এক দিকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি খুবই জরুরি। পাশাপাশি এসব কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াও প্রয়োজন।
“রোটেশন পদ্ধতিতে যে পানি দেয়, তাতে আমরা ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে দিয়েছি, এবার টার্গেট ৬০ হাজার। আশা করছি এটি পূরণ করতে পারব।”
খরা মৌসুমে সেচ ব্যবস্থাপনার এই সংকট কৃষকদের ভাবনায় ফেলেছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।