চট্টগ্রামে অপহরণকারী গ্রেপ্তার, ফেনীতে মিলল শিশু

ফেনীতে অপহরণের ১৪ দিন পর ১১ বছরের এক মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2021, 04:12 AM
Updated : 4 Jan 2021, 04:12 AM

তাকে চট্টগ্রামে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও রোববার সন্ধ্যায় আদালতে অভিযোগ করেছে উদ্ধার হওয়া শিশুটি।

এর আগে ধর্ষণ ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির প্রতিবেশী এক যুবককে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো. রাকিব হোসেন (৩৫) ফেনী শহরের মধ্যম চাড়িপুরের বাসিন্দা।

ফেনী মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে ফেনী পৌরসভার মধ্যম চাড়িপুর থেকে ১১ বছরের ওই শিশু নিখোঁজ হয়। ২০ ডিসেম্বর ওই শিশুর মা ফেনী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ওসি জানান, অপহরণের পর শিশুটি অপহরণকারীদের অজান্তে তাদের একজনের মুঠোফোন থেকে তার বাবার কাছে ফোন করে। সেই ফোনকলের সূত্র ধরে শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম থেকে অপহরণকারী দলের সদস্য রাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাকিব গ্রেপ্তার হলে তার দুই সহযোগী পরদিন শিশুটিকে চট্টগ্রাম থেকে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে এনে ছেড়ে দেন।

রোববার দুপুরে পুলিশ সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।

রোববার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের আদালতে তুলে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে শিশুটি বলে, ১৮ ডিসেম্বর রাতে চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে প্রতিবেশী রাকিব হোসেন, মামুনসহ তিন যুবক তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। অপহরণের পর প্রথমে তাকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় তিন দিন রাখার পর শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিয়ে যান অপহরণকারীরা। এরপর চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকার একটি বাসায় আটকে রেখে রাকিব তাকে ধর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার রাকিব তার ফোন ঘরে ফেলে রেখে বাইরে গেলে শিশুটি তার বাবার কাছে ফোন করে অপহরণের বিষয়টি জানান।

ওসি আরও বলেন, ওই ফোনকলের ঘটনাটি শিশুটির স্বজনরা পুলিশকে জানালে পুলিশ ফোনের সূত্র ধরেই রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত হয়।

পুলিশের একটি দল চট্টগ্রাম গিয়ে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় রোববার শিশুটির মা বাদী হয়ে রাকিবসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

গ্রেপ্তার রাকিবকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।