নিহতরা হলেন- উপজেলা সদর কলাকোপা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের মহসিন উদ্দিন পলাশের ছেলে প্রান্তিক (২০) ও একই ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. আজমের ছেলে আলভী মেহেদী (২০)।
প্রান্তিক ঢাকার ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ও আলভী দোহার-নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, শনিবার ভোরের দিকে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলভী মারা যায়।
এর আগে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আলভীর বন্ধু আনজির আহমেদ প্রান্তিকের মৃত্যু হয়।
প্রান্তিকের চাচা পরাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আলভীকে নিয়ে বাবার মোটর সাইকেলে করে ঘুরতে বের হয় প্রান্তিক। মোটর সাইকেলের চালকের আসনে ছিল প্রান্তিক আর আলভী পেছনে বসা ছিল।
পরে রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে প্রান্তিকদের মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরও একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় প্রান্তিক ও আলভী ছিটকে পড়ে আহত হয়।“
পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে পাশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানান পরাগ।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার এসআই লিয়াকত বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।