একই সঙ্গে আরেক আসামি এই কনস্টেবলের স্ত্রীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার মহানগরের তাজহাট আমলী আদালতের মুখ্য হাকিম আল মেহেবুব রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলার এই দুই আসামি হলেন পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগম।
পরিদর্শক নাজমুল বলেন, নিহত নাজমুল ইসলাম লালমনিরহাটের মুস্তফি অতিপুর এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি আশরতপুর ঈদগাহপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার পায়ে সমস্যা থাকায় পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর গ্যারেজ থেকে নেওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় চালাতেন। ওই রিকশাটি গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) চুরি হয়ে যায়।
ওইদিন কনস্টেবল হাসানের কোর্ট পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বলে পরিদর্শক নাজমুল জানান।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। ওইদিনই এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে স্ত্রীসহ কনস্টেবল হাসান আলীকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।
পরে রাতে নিহত নাজমুলের স্ত্রী শ্যামলী বেগম বাদী হয়ে হাসান ও তার স্ত্রীকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন বলে তিনি জানান।