গোপালপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হত্যা মামলার আসামি কাউন্সিলর

নাটোরের গোপালপুর পৌরসভায় এক আওয়ামী লীগ নেতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হতে যাচ্ছেন, যিনি এক যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের প্রধান আসামি।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2020, 10:42 AM
Updated : 30 Dec 2020, 10:43 AM

মাসুদ রানা নামের এই ব্যক্তি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক; আসন্ন পৌর নির্বাচনে তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। 

মাসুদ রানা স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের প্রধান আসামি।

গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আসলাম জানান, গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুধু মাসুদ রানা কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২২ ডিসেম্বর যাচাই বাছাইয়ের দিন তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়।

“২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ওইদিন তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তাই ধরে নেওয়া যায় যে তিনি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন।”

আগামী ১৬ জানুয়ারি গোপালপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গোপালপুর পৌর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি এর আগে দুবার কাউন্সিলর ছিলেন। এবারও ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পরে আর তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

কী কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেননি তা পরিষ্কার করে তিনি জানাননি।

তিনি বলেন, “আমি পরিস্থিতির শিকার। সময়টা ভালো যাচ্ছে না।”

তবে কোনো চাপে পড়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি কিনা তা জানা যায়নি।  

এ ব্যাপারে মাসুদ রানা বলেন, তিনি কাউকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বা জমা দিতে নিষেধ করেননি। মহিদুল ও তিনি নিকট প্রতিবেশী। এলাকার লোকজন তাদের দুজনকে নিয়ে বসেছিলেন। তাদের অনুরোধে হয়ত সহানূভুতি দেখানোর জন্যই মহিদুল মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

জাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সামনে প্রকাশ্যে গোপালপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহারুল ইসলামের হাত পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় জাহারুলের ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাসুদ রানাকে প্রধান আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশের অভিযোগপত্রে মাসুদ রানার নাম রয়েছে। তবে তিনি ওই মামলায় জামিনে আছেন।

মামলার বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, জাহারুল হত্যার দিন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবুও আক্রোশবশত তাকে আসামি করা হয়েছে। তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছেন।