জেলার পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েজনকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য জানতে পেরেছে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের দরবেশ মিয়ার মেয়ে রফিজা খাতুনকে হত্যা করা হয়।
এর সপ্তাহ খানেক পরে নাসিরনগর থানায় প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রফিজার ভাই মুছা মিয়া।
পুলিশ সুপার শাখাওয়াত মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, মুছা মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আবু কালামের বিরোধ ছিল। খাসজমি দখল নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করলে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের লোকজনদের সংঘর্ষ হয়। তাতে কালামের এক সমর্থক নিহত হন।
“তখন মুছা মিয়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনায় আরও কয়েজন অংশ নেয়। মুছা, তার ভাই মোবারক, সোহাগ, ভগ্নিপতি জয়নাল ও চাচাত ভাই আক্কাছসহ কয়েকজন রফিজাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বাড়ির আঙ্গিনায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তারা।”
পরে মুছা মিয়া প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, পিবিআই তদন্তে নেমে খুনি সন্দেহে আক্কাছকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোহাগ ও পরশ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।