নিহত বাস চালক মামুনুর রশিদ জয়পুরহাট সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
তবে ‘অনেকের চেহারা বিকৃত হওয়ায় শনাক্তে বিভ্রান্ত হয়ে’ দুর্ঘটনার পরপর মামুনুর মারা গেছেন বলে উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে খবর হয়েছিল বলছেন তার স্বজনরা।
রোববার দুপুরে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী জানিয়েছেন, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে মামুনুর রশিদ নামে ওই বাস চালক মারা যান।
প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রোববার দুপুরে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।”
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেইট এলাকায় ১৯ ডিসেম্বরের এ দুর্ঘটনায় তাকে নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হল।
নিহতের স্ত্রী সুমি বেগমসহ গ্রামবাসী জানান, মামুনুর রশিদ ওই যাত্রীবাহী বাসটি চালিয়ে জয়পুরহাট থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন।
একই বাসে থাকা অপর এক বাস চালক এবং পাঁচবিবি উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল ইসলাম জিয়াও ১২ জনের সাথে সেদিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
“ওই মৃতদেহগুলি এতটাই বিভৎস ছিল যে তাৎক্ষণিকভাবে কাউকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে ওই দুর্ঘটনায় ১২ জনের সাথে মামুনুর রশিদও মারা গেছেন বলে আমরা জানতে পারি এবং তা মিডিয়া কর্মীদের জানানো হলে খবর প্রচরিত হতে থাকে। ”
আহত মামুনুর রশিদের চেহারাও চেনা যাচ্ছিল না উল্লেখ করে তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করানোর অনেক পরে পরিবারের সদস্যরা তা জানতে পারে।
সেখানে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার পর আট দিনের মাথায় তিনি মারা যান বলেও জানান সুমি।