পরপর পাঁচ দফা বন্যায় নষ্ট হয়েছে মাঠের ধান। এখন সেই মাঠ ও বাড়ির আঙিনায় সবজি লাগিয়ে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে তারা। হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালনেও ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছে।
সরজমিনে সবুজ পাড়া গ্রামে গিয়ে জানা যায়, দুধকুমর, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপূত্র নদের মোহনায় অবস্থিত ওই গ্রামের মানুষ বারবারই বন্যাকে মোকাবেলা করে আসছে। কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যায় বহু পরিবারের আমনের বীজতলা, মাঠের ফসল, বাড়ির চারপাশের শাকসবজি ও হাঁস-মুরগির ব্যাপক ক্ষতি হয়। দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় নষ্ট হয়ে যায় ঘরবাড়ি ও গবাদিপশুর খাদ্য খড়ের গাদা।
সমষ্টিগতভাবে উদ্যোগ নেওয়ায় সবুজপাড়া গ্রাম এখন সবুজে পরিণত হয়েছে।
“এছাড়াও একটি ভেড়া পেয়েছিলাম। গত দুই বছরে পাঁচ হাজার টাকায় একটি বিক্রি করে ঘর ঠিক করেছি। এখন চারটা ভেড়া রয়েছে।”
একই গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী ছবুরা বেগম ও আমিনুলের স্ত্রী রুবিনা বেগম বলেন, আগে তারা হাট থেকে সার কিনে আনতেন। এখন গোবর দিয়ে নিজেরা সার তৈরি করছেন। কীটনাশক ফাঁদ দিয়ে পোকা ধরছেন। এছাড়া শুকনো নিমপাতা দিয়ে সবজি ক্ষেত পোকা ও বিষমুক্ত রাখছেন।
ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, দুধকুমর নদীর কারণে সবুজপাড়া গ্রাম প্রতিবছর বন্যায় প্লাবিত হয়। এবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রেন্ডশীপ বাংলাদেশ’ এই গ্রামে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এই গ্রামে ‘বৈপ্লবিক’ পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠে তারা শাকসবজি চাষ, হাঁস-মুরগি ও ভেড়া পালন করে নিজেদের পরিবারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।