বরিশালে ড্রামে নারীর লাশ: একমাস পর একজন গ্রেপ্তার

বরিশালের গৌরনদীতে ড্রামের ভেতর এক নারীর লাশ উদ্ধারের এক মাস পর হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2020, 09:52 AM
Updated : 25 Dec 2020, 09:52 AM

বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার হিজলতলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরীর পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই বরিশালের এসপি হুমায়ুন কবির একথা জানান।

গ্রেপ্তার খালেক হাওলাদার (৫৫) গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিবিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

গত ২০ নভেম্বর নগরীর ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে একটি ড্রামে ছাবিনা বেগমের লাশ পাওয়া যায়। ছাবিনার শ্বশুর বাড়ি গৌরনদী পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

আর্থিক লেনদেনের জের ধরে খালেক হাওলাদার এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত ছাবিনা বেগমের স্বামী শহিদুল ইসলাম সৌদি প্রবাসী। তার মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য কয়েক বছর আগে ছাবিনা বেগমকে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা দেন খালেক। কিন্তু তাকে সৌদি আরব নিতে ব্যর্থ হন শহিদুল। খালেক তার পাওনা টাকা চাইলে তা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করেন ছাবিনা বেগম।

খালেকের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এই পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, ‌দুই সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন ছাবিনা বেগম। গেল ২০ নভেম্বর তিনি গৌরনদীর শ্বশুর বাড়ি আসেন।

“ওইদিন তাকে ফোন করে কৌশলে বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ভূইয়া মসজিদ এলাকায় ডেকে নেন খালেক। এক পর্যায়ে ওই এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের নিচে নিয়ে যাওয়া হয় ছাবিনা বেগমকে। সেখানে বসেই মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করেন খালেক।”

হুমায়ুন কবির বলেন, এরপর ছাবিনার লাশ একটি ড্রামে ভরে বাসে করে ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান তিনি। পরে ভ্যান গাড়ি আনার কথা বলে পালিয়ে যান খালেক।

“পরে পুলিশ আঙুলের ছাপ মিলিয়ে ছাবিনা বেগমের পরিচয় নিশ্চিত করে।”

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে খালেকের স্ত্রী রহিমা বেগমকে আটক করা হয় গত ২২ নভেম্বর। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার বস্তুটি উদ্ধার হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এক মাস চার দিন চেষ্টা চালিয়ে খালেক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান এসপি হুমায়ুন কবির।