বুধবার সকালে বোরখা পরিহিত এক মহিলা শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার এই ঘটনা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম জানান, শিশুটি উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের তফিজ উদ্দিন ও সীমা খাতুন দম্পতির তৃতীয় সন্তান। বুধবার সকাল সোয়া ৮টায় সীমা খাতুন চিকিৎসা নিতে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।
তিনি জানান, এই সময় বহির্বিভাগে অনেক ভিড় ছিল। পাশে থাকা এক অপরিচিত মহিলা শিশুটিকে তার কোলে দিয়ে তাকে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন।
“সরল বিশ্বাসে তিনি কোলের শিশুকে ওই মহিলার কাছে দিয়ে ডাক্তারের কক্ষে ঢোকেন। চার মিনিট পরে বের হয়ে এসে আর ওই মহিলা ও তার শিশুকে দেখতে পাননি।”
মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, পরে বহু খোঁজাখুঁজি করেও সন্তানের খোঁজ না পেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে থানা পুলিশ হাজির হয়।
“পরে পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখতে পায় বোরখা পরিহিত এক মহিলা ওই শিশুকে কোলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে।”
সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা স্থানে তল্লাশি চালিয়েও শিশুটির সন্ধান বের করা যায়নি বলে তিনি জানান।
শিশুটির মা সীমা খাতুন বলেন, “বাচ্চার সুবিধার কথা ভেবে আমি সরল বিশ্বাসে ওই মহিলার কাছে তাকে দিয়েছিলাম। ভাবতেও পারিনি সে একজন শিশু চোর।”
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই পুলিশ হাসপাতালের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে শিশুটিকে বহনকারী মহিলাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।
শিশুটিকে স্বল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।